ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সর্বশেষ আপডেট :
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার সর্বশেষ আপডেট :
.★★★কেমন হবে নতুন নিয়মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা?★★★
MCQ প্রশ্নের পাশাপাশি লিখিত প্রশ্নও থাকবে। অর্থাৎ কেবল বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উপর ভিত্তি করে পরীক্ষা না নিয়ে, এবার বহু নির্বাচনীর পাশাপাশি উত্তর করতে হবে লিখিত প্রশ্নের। কীভাবে হবে এই পরীক্ষার প্রশ্নের মানবন্টন? বহু নির্বাচনী ও লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা সময় কীভাবে ভাগ করা হবে? জেনে নেয়া যাক সেই সকল তথ্য।
প্রথমেই জেনে নেয়া যাক মান বন্টনের ব্যাপারে। পূর্বের নিয়ম অনুযায়ী মোট ২০০ নম্বরের পরীক্ষায় ১২০ নম্বর আসতো সরাসরি ভর্তি পরীক্ষা থেকে এবং বাকি ৮০ নম্বর আসতো পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা এর সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে। এবার নতুন নিয়মেও মোট নম্বর ২০০ থাকলেও পরিবর্তন হয়েছে নম্বর বিভাজন। ২০০ নম্বরের মধ্যে ১০০ নম্বর আসবে পরীক্ষার্থীর মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা এর সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ থেকে এবং বাকি ১০০ নম্বর আসবে ভর্তি পরীক্ষায় বহু নির্বাচনী এবং লিখিত পরীক্ষা থেকে।
মাধ্যমিক বা এর সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে গুণ করা হবে ৮ দিয়ে এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা এর সমমানের পরীক্ষায় প্রাপ্ত জিপিএ-কে গুণ করা হবে ১২ দিয়ে।
যদি তুমি মাধ্যমিকে জিপিএ ৫.০০ পাও, তাহলে এখান থেকে তুমি পাবে ৫*৮ = ৪০ নম্বর। যদি তুমি উচ্চ মাধ্যমিকে জিপিএ ৫.০০ পাও, তাহলে তুমি পাবে ৫*১২ = ৬০ নম্বর। এভাবে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক বা এর সমমানের পরীক্ষার জিপিএ মিলিয়ে তুমি পাবে ৪০+৬০ = ১০০ নম্বর।
মূল ভর্তি পরীক্ষা ও এর মানবন্টন:
এবার নজর দেয়া যাক মূল পরীক্ষার মান বন্টনের দিকে।
১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬০ নম্বর আসবে বহু নির্বাচনী প্রশ্নের উত্তর থেকে এবং ৪০ নম্বর আসবে লিখিত পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর থেকে।
৬০ নম্বরের বহু নির্বাচনী অংশে মোটি কয়টি প্রশ্ন হবে এবং প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তরের জন্য কতো মার্ক্স যোগ হবে ও প্রতিটি ভুল উত্তরের জন্য কতো মার্ক্স করে কাটা যাবে, তার উত্তর পেয়ে যাবে ভর্তি পরীক্ষার সার্কুলার প্রকাশিত হবার পর।
সেই সাথে ৪০ নম্বরের লিখত পরীক্ষায় কয়টি প্রশ্ন থাকবে সেটির উত্তরও পাবে তোমরা সার্কুলার থেকে।
তবে এখানে বলে রাখা ভালো, লিখিত পরীক্ষায় বড় আকারে উত্তর করতে হয় এমন কোনো প্রশ্ন থাকবে না। সংক্ষিপ্ত আকারে উত্তর দেয়া যায় এমন প্রশ্ন সেখানে করা হবে।
সময় বন্টন:
সময় বন্টনের ক্ষেত্রে আগের মতোই ১ ঘন্টা ৩০ মিনিট রাখা হয়েছে। তবে এবার যেহেতু দুই ভাগে পরীক্ষা হবে, তাই সময়ের হিসাবে থাকছে কিছু ভিন্নতা।
বহু নির্বাচনী পরীক্ষার জন্য সময় রাখা হয়েছে ৪০ মিনিট। অর্থাৎ ৪০ মিনিট সময়ের মাঝে তোমার ৬০ নম্বরের বহু নির্বাচনী দাগাতে হবে।
আর লিখিত পরীক্ষার জন্য বরাদ্দ রয়েছে ৫০ মিনিট। লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদা কোনো উত্তরপত্র দেয়া হবে না। প্রশ্নের মাঝেই উত্তর লেখার জায়গা থাকবে।
অর্থাৎ প্রশ্ন থাকবে সকল সংক্ষিপ্ত উত্তরের জন্য। বহু নির্বাচনী এবং লিখিত পরীক্ষার জন্য আলাদা আলাদা উত্তরপত্র সরবরাহ করা হবে। একটি পরীক্ষা শেষ হলে, তার উত্তরপত্র সংগ্রহ করে পরবর্তী পরীক্ষার জন্য প্রশ্ন ও উত্তরপত্র দেয়া হবে। তবে বহু নির্বাচনী পরীক্ষা আগে হবে নাকি লিখিত পরীক্ষা আগে হবে সেটি জানা যাবে ভর্তি পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সার্কুলার প্রকাশের পর।
অনেকেই জানতে চেয়েছো রিটেনের জন্য কোন বই পড়তে হবে? আবার অনেকেই কনফিউজড MCQ এর জন্য কোন বই ভালো হবে! রিটেনের জন্য আলাদা বই না কিনে এমন বই কিনতে হবে যেটাতে রিটেন + MCQ দুটোই আছে।
অনেকেই তোমাকে এমন সব বই সাজেস্ট করবে যেগুলোতে Only MCQ আছে! রিটেন পার্ট এড করা নেই! তাই বই কেনার আগে অবশ্যই জেনে নিবা এটাতে MCQ + WRITTEN দুটোই আছে কিনা। কারণ, এবার ঢাবি সহ আরো কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে MCQ + রিটেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে শুধু রিটেন পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে, কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে Only MCQ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে। তাই তোমাকে রিটেন + MCQ দুটোরই প্রিপারেশন নিতে হবে।
দেখে নাও কোন ইউনিটের জন্য কোন বই পড়তে হবে। কোচিং করো আর না করো এই বইগুলো তোমাকে পড়তেই হবে। 😎
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
ক ইউনিট / A UNIT ( বিজ্ঞান বিভাগ) এর MCQ + WRITTEN সম্বলিত
বই সাজেশন :
Biology SUMMIT,
Core Chemistry,
Physics SUMMIT,
MATH Dynamite,
ইউনিক ভার্সিটি সলুশন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
B ইউনিটের ( মানবিক ) MCQ + WRITTEN সম্বলিত বই সাজেশন :
বাংলা প্রান্তর, ছায়ামঞ্চ Competitive English, ছায়ামঞ্চ Admission Vocabulary,
ছায়ামঞ্চ বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক, ইউনিক ভার্সিটি সলুশন, সাম্প্রতিক ক্যাপ্টেন .
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
গ ইউনিটের / C UNIT ( ব্যবসায় শিক্ষা) এর MCQ + WRITTEN সম্বলিত
বই সাজেশন :
বাংলা প্রান্তর, ছায়ামঞ্চ Business Studies. ছায়ামঞ্চ Competitive English, ছায়ামঞ্চ Admission Vocabulary. ইউনিক ভার্সিটি সলুশন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের
D ইউনিটের ( বিভাগ পরিবর্তন ) MCQ + WRITTEN সম্বলিত বই সাজেশন :
বাংলা প্রান্তর, ছায়ামঞ্চ Competitive English, ছায়ামঞ্চ Admission Vocabulary,
ছায়ামঞ্চ বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক, ইউনিক ভার্সিটি সলুশন, সাম্প্রতিক ক্যাপ্টেন, তথ্য জগৎ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ ইউনিটের সাধারণ জ্ঞান এর জন্য পড়তে হবে
১) Bangla GK summit
২) ছায়ামঞ্চ বাংলাদেশ + আন্তর্জাতিক ( রিটেন)
এই বইগুলো পড়লে MCQ + রিটেন দুটোরই প্রিপারেশন কমপ্লিট হবে 😎
ইউনিটকথন:
প্রতিবারের মতো এবারো ৫টি ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ক-ইউনিটে সকল বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে। মানবিক বিভাগে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে খ-ইউনিটে এবং ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিবে গ-ইউনিটে। ঘ-ইউনিট হলো বিভাগ পরিবর্তনের জন্য। তুমি যদি নিজের বিভাগ বদল করতে চাও, তাহলে এই ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারো। তবে এর জন্য রয়েছে কিছু নীতিমালা যা ভর্তির সার্কুলার থেকে দেখে নিতে হবে।
আর সর্বশেষ চ-ইউনিটে পরীক্ষা দিতে পারো যদি চারুকলা অনুষদে পড়ার ইচ্ছা থাকে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে ঢাবি ওয়েবসাইট থেকে। ভর্তি আবেদনের কার্যক্রম শুরু হলেই এই সাইটটি খুলে দেয়া হবে। এখানেই ভর্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য তোমরা পেয়ে যাবে।
অনলাইনে কাঙ্ক্ষিত ইউনিটে আবেদনের পর টাকা জমা দিতে হবে সোনালি ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রনী ব্যাংক এবং জনতা ব্যাংকের যেকোনো একটিতে। ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫০/= টাকা। অনলাইনে আবেদন গ্রহণ করা হবে ৫ আগস্ট থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত এবং আবেদন ফি জমা দেয়ার শেষ দিন ২৮ আগস্ট। আর ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৫টি ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
১৩ সেপ্টেম্বর – গ-ইউনিট
১৪ সেপ্টেম্বর – চ-ইউনিট (সাধারণ জ্ঞান অংশ)
২০ সেপ্টেম্বর – ক-ইউনিট
২১ সেপ্টেম্বর – খ-ইউনিট
২৭ সেপ্টেম্বর – ঘ-ইউনিট
২৮ সেপ্টেম্বর – চ-ইউনিট (অঙ্কন অংশ)
সময় মেনে ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিলে অবশ্যই স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অংশ হতে পারবে তুমি। মনে রাখবে, স্বপ্নের কখনও মৃত্যু হয় না।
(তথ্যসূত্র – দৈনিক প্রথম আলো)
- লিঙ্ক পান
- ইমেল
- অন্যান্য অ্যাপ
এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি
17 তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এর MCQ ও লিখিত পরীক্ষা স্থগিত সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ প্রকাশের তারিখ: 26-04-2020 | 17th NTRCA MCQ Exam Date Change
17 তম বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন এর MCQ ও লিখিত পরীক্ষা স্থগিত সংক্রান্ত নোটিশ প্রকাশ প্রকাশের তারিখ : 26-04-2020 17th NTRCA MCQ exam date 2020 |School | School Level 2 | College, 17th NTRCA MCQ exam date 2020, 17th NTRCA School level Exam date 2020, 17th NTRCA School Level 2 exam date 2020, 17th NTRCA College level MCQ exam date 2020. NTRCA today published a notice for MCQ exam date 2020 so very Applicant can see their preliminary Exam date here. stay with us here job-related news updates. 17th NTRCA MCQ exam date 2020 |School | School Level 2 | College, 17th NTRCA MCQ exam date 2020, 17th NTRCA School level Exam date 2020, 17th NTRCA School Level 2 exam date 2020, 17th NTRCA College level MCQ exam date 2020. NTRCA today published a notice for MCQ exam date 2020 so very Applicant can see their preliminary Exam date here. stay with us here job-related news updates. করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ১৭তম শিক্ষক নিবন্ধনের প্রিলিমিনারি ও লিখি
৭ দিনে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন” বা “এক মাসে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন
৭ দিনে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন” বা “এক মাসে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন” বা মাত্র তিন দিনে গ্রাফিক ডিজাইনার হন, এই টাইপের টাইটেল দেখে অনেকেই ফ্রিল্যান্সিং শিখতে আগ্রহী হচ্ছ ে। চটকদার বিজ্ঞাপনে ফাঁদে পড়ে, অনেকেই হয়তো এসব ট্রেনিং সেন্টার থেকে ট্রেনিং ও নিয়েছে। freelancing with Engr Sharif Dewan কিন্তু আসলেই কি ৭ দিনে শিখা যায়? উত্তর হচ্ছে না। আসলে ফ্রিল্যান্সিং কি, কি ভাবে করা যায়, কিভাবে অনলানে ক্যারিয়ার গড়া যায় এসব জানতে ৭ দিন লাগে না। একটু ঘাঁটা ঘাঁটি করলে কয়েক ঘন্টাই যথেষ্ট। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য যে জ্ঞান লাগে, যে দক্ষতা লাগে, তা কি ৭ দিনে শেখা সম্ভব? সহজ উত্তর হচ্ছে অবশ্যই না। ফ্রিল্যান্স বা অনলাইন ক্যারিয়ার করা এত সহজ না, এবং এখানে যথেষ্ট দক্ষতা, পরিশ্রম, এবং চর্চার ব্যাপার আছে। ৭ দিনে হয়ত বেসিক ধারনা অর্জন করা সম্ভব, তবে সফল হতে হলে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর ধরে চর্চা করা লাগতে পারে। অনলাইনে ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রেও ফ্রিল্যান্সিং শিখা মূল কথা না। মূল কথা হচ্ছে একটা বিষয়ে দক্ষতা অর্জন এবং ঐ দক্ষতা কাজে লাগানো। “৭ দিনে ফ্রিল্যান্সিং শিখুন” বা
মৎস্য অধিদপ্তর ৮ টি পদে মোট ৩১০ জনকে নিয়োগ | The Directorate of Fisheries will appoint a total of 310 people in 8 posts.
DOF Job Circular 2020: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মৎস্য অধিদপ্তর এর শূন্য পদসমূহে জনবল নিয়োগ দেয়া হবে। মৎস্য অধিদপ্তর ৮ টি পদে মোট ৩১০ জনকে নিয়োগ দেবে . আবেদনের নিয়ম: আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে http://dof.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন শুরুর সময়: ২৪ মার্চ ২০২০ তারিখ সকাল ১০:০০ টা থেকে আবেদন করা যাবে। আবেদনের শেষ সময়: ২৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখ বিকাল ০৫:০০ টা পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন